সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিদ্যুৎ

বিদ্যুৎ কি? কত প্রকার কি কি??


বিদ্যুৎ এমন এক অদৃশ্য শক্তি যা আল, শব্দ, গতি এবং রুপান্তরিত শক্তি ইত্যাদি উৎপান্ন করে বিভিন্ন বাস্তব কাজ সমাধান করে। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ট্রান্সফরমারের টুকিটাকি

আজ আমরা জানবো ট্রান্সফরমারের সব খুঁটিনাটি। একসময় AC বলে কিছু ছিল না সবই ছিল DC বা ডিরেক্ট কারেন্ট। ডিরেক্ট কারেন্টের সমস্যা ছিল এটা বহুদূর পর্যন্ত পরিবহন করা যায় না। পরিবহনে কারেন্ট লস হতো খুব বেশী। ইলেকট্রিসিটি যখন তারের মধ্য দিয়ে যায়, তখন আস্তে আস্তে তার পাওয়ার লস হতে থাকে। ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভাষায় একে বলা হয় লাইন লস। এই লাইন লস P=I২R সূত্র মেনে চলে।P মানে পাওয়ার,I মানে কারেন্ট আর R মানে রেজিস্ট্যান্স বা বাধা।তার মানে, যে পরিমাণ কারেন্ট ফ্লো করবে, তার বর্গাকারে লাইন লস হবে। কারেন্ট ফ্লো যদি দুই গুণ বাড়ে, লাইন লস বাড়বে চার গুণ। কারেন্ট ফ্লো তিনগুণ বাড়লে লাইন লস নয়গুণ। এডিসন জানতেন, কোনভাবে যদি কারেন্টের ফ্লো-টা কমানো যায়- তাহলেই কাজ হবে। লাইন লস কমে যাবে। সেই সাথে দূরে বহুদূরে ইলেকট্রিসিটিও পাঠানো যাবে। এই সমস্যার সমাধান হয় ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে। তবে DC তে এর সমাধান হয়নি। এর জন্য উদ্ভাবিত হয় AC বা অল্টারনেটিং কারেন্ট। নিকোলা টেসলা। তিনি ঘূর্নায়মান চৌম্বক ক্ষেত্রের উপর কাজ করতে গিয়ে এসি কারেন্টের দেখা পান। সাথে সাথে তিনি এসি কারেন্ট কি করে উৎপাদন, সরবরাহ এবং ব্যবহার করা যায় - সেটার

ট্রান্সফরমার (Transformer)

ইলেকট্রিক্যাল এর একটি গুরুতম অধ্যায় ট্রান্সফরমার। ট্রান্সফরমার  থেকে জব এর পরীক্ষায় কিছু প্রশ্ন থাকেই। তাই কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর সংগ্রহ করলাম। ১. ট্রান্সফরমার কি?      ট্রান্সফরমার এমন একটি বৈদ্যুতিক স্থির ডিভাইস যার সাহায্যে পাওয়ার ও ফ্রিকুয়েন্সী পরিবর্তন না করে কোন প্রকার বৈদ্যুতিক সংযোগ ছাড়া শুধু মাত্র চুম্বকীয় ভাবে সংযুক্ত দুইটি কয়েলে প্রয়োজন অনুযায়ী ভোল্টেজ কমিয়ে বা বাড়িয়ে এক সার্কিট হতে অন্য সার্কিটে পাওয়ার স্থানান্তরিত করা হয় তাই ট্রান্সফরমার। ট্রান্সফরমার তিন প্রকার যথা- ক) কোর টাইপ খ) শেল টাইপ গ)  স্পাইরাল কোর টাইপ কার্যপ্রণালীর উপর ভিত্তি করে ট্রান্সফরমারকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে- ক) স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার খ) স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার গ) ওয়ান টু ওয়ান ট্রান্সফরমার ব্যাবহারেরে  উপর ভিত্তি করে ট্রান্সফরমারকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে- ক) পাওয়ার ট্রান্সফরমার খ) ডিষ্ট্রিবিউশন ট্রান্সফরমার গ) অটো ট্রান্সফরমার ঘ) ইনস্টুমেন্ট ট্রান্সফরমার      ইনস্টুমেন্ট ট্রান্সফরমার দুই প্রকার-           ১। কারেন্ট ট্রান্সফরমার           ২। পটেনশিয়াল ট্রান্সফরমার স্থাপন প্রন

ইলেকট্রিক্যাল শর্ট নোট

শুধু জবের প্রস্তুতি হিসাবে নয়, একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে জেনে রাখুন এই নোটগুলো ১। কারেন্ট কাকে বলে? পরিবাহী পদার্থের মধ্যকার মুক্ত ইলেকট্রন সমূহ একটি নিদ্রিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকেই কারেন্ট বলে। ইহাকে I বা i দ্বারা প্রকাশ করা হয়, এর একক অ্যাম্পিয়ার (A বা Amp.) অথবা কুলম্ব/সেকেন্ড । কারেন্ট দুই প্রকার - ১. এসি (ac) কারেন্ট ২. ডিসি কারেন্ট।  ২। ভোল্টেজ কাকে বলে? পরিবাহী পদার্থের পরমাণুগুলির মুক্ত ইলেকট্রন সমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপের প্রয়োজন সেই বল বা চাপকেই বিদ্যুৎ চালক বল বা ভোল্টেজ বলে। একে V দ্বারা প্রকাশ করা হয় এর একক Volts. ৩। রেজিষ্ট্যান্স কাকে বলে? পরিবাহী পদার্থের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার সময় পরিবাহী পদার্থের যে বৈশিষ্ট্য বা ধর্মের কারণে উহা বাধাগ্রস্ত হয় উক্ত বৈশিষ্ট্য বা ধর্মকেই রোধ বা রেজিষ্ট্যান্স বলে। এর প্রতীক R অথবা r, আর একক ওহম (Ω)। ৪। ট্রান্সফরমার ট্রান্সফরমার একটি ইলেক্ট্রিক্যাল মেশিন যা পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎকে (Alternating current) এক ভোল্টেজ থেকে অন্য ভোল্টেজে রূপান্তরিত করে। ট্রান্সফরমার স্টেপ আপ অথবা স্টেপ ডাউন দুই ধরনের হয়ে থাকে