আজ আমরা জানবো ট্রান্সফরমারের সব খুঁটিনাটি। একসময় AC বলে কিছু ছিল না সবই ছিল DC বা ডিরেক্ট কারেন্ট। ডিরেক্ট কারেন্টের সমস্যা ছিল এটা বহুদূর পর্যন্ত পরিবহন করা যায় না। পরিবহনে কারেন্ট লস হতো খুব বেশী। ইলেকট্রিসিটি যখন তারের মধ্য দিয়ে যায়, তখন আস্তে আস্তে তার পাওয়ার লস হতে থাকে। ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভাষায় একে বলা হয় লাইন লস। এই লাইন লস P=I২R সূত্র মেনে চলে।P মানে পাওয়ার,I মানে কারেন্ট আর R মানে রেজিস্ট্যান্স বা বাধা।তার মানে, যে পরিমাণ কারেন্ট ফ্লো করবে, তার বর্গাকারে লাইন লস হবে। কারেন্ট ফ্লো যদি দুই গুণ বাড়ে, লাইন লস বাড়বে চার গুণ। কারেন্ট ফ্লো তিনগুণ বাড়লে লাইন লস নয়গুণ। এডিসন জানতেন, কোনভাবে যদি কারেন্টের ফ্লো-টা কমানো যায়- তাহলেই কাজ হবে। লাইন লস কমে যাবে। সেই সাথে দূরে বহুদূরে ইলেকট্রিসিটিও পাঠানো যাবে। এই সমস্যার সমাধান হয় ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে। তবে DC তে এর সমাধান হয়নি। এর জন্য উদ্ভাবিত হয় AC বা অল্টারনেটিং কারেন্ট। নিকোলা টেসলা। তিনি ঘূর্নায়মান চৌম্বক ক্ষেত্রের উপর কাজ করতে গিয়ে এসি কারেন্টের দেখা পান। সাথে সাথে তিনি এসি কারেন্ট কি করে উৎপাদন, সরবরাহ এবং ব্যবহার করা যায় - সেটার ...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ